টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী গ্রামের বাসিন্দা মাসুম শেখ। ৩০ বছর বয়সী মাসুম জন্ম থেকেই শারীরিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। বাবা মজিদ শেখ দশ বছর আগে মারা যাওয়ার পর মাকে নিয়ে ছিলো তার সংসার। চার বছর আগে বিয়ের পর একটা এনজিও থেকে টাকা ঋণ নিয়ে কিনেছিল একটি ভ্যান। সেই ভ্যান চালিয়েই চলতো তার তিনজনের সংসার।
কিন্তু গত ৩১ জুলাই রাতে তার বাড়ি থেকে উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম ভ্যানটি চুরি হয়ে যায়। তারপর থেকেই সাহায্যের আশায় অনেকের কাছে গেলেও কেউ সারা দেয়নি। তখন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার বিষয়টি কুশলী ইউপি চেয়ারম্যান ইসতিয়াক হোসেনের মাধ্যমে জানতে পেরে ছুটে যান শারীরিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মাসুমের বাড়িতে।
তখন মাসুমকে ভ্যান কেনার জন্য ২০ হাজার টাকার ব্যবস্থা করে দিতে বলেন, সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রকাশ চক্রবর্তীকে। পরে ৭ আগস্ট দুপুরে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকার চেক মাসুমের হাতে তুলে দেন ইউএনও। বাঁচার নতুন অবলম্বন কেনার টাকা পেয়ে খুশিতে আত্মহারা প্রতিবন্ধী যুবক মাসুম।
আপ্লুত কন্ঠে মাসুমের মা আবেজান বেগম বলেন, আমার প্রতিবন্ধী ছেলে মাসুম ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতো। ভ্যানটি চুরি হওয়ার পর থেকে অনেকের কাছে সাহায্যের জন্য গিয়েছে। কিন্তু কেউ সাহায্য করেনি। পরে কুশলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে উপজেলার ম্যাডাম জানতে পারেন। তখন তিনি মাসুমকে ডেকে বাঁচার নতুন আশা ভ্যান কেনার জন্য ২০ হাজার টাকার ব্যবস্থা করে দেন।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবন্ধী মাসুম শেখের জন্য যতটুকু পেরেছি করার চেষ্টা করেছি মাত্র। আগামীতেও জনসেবায় উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাবে।